Monday, December 23, 2024
HomeISLAMঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম: সাপ্তাহিক জুমার নামাজ আদায় করার জন্য যে সকল শর্ত প্রয়োজন, ঠিক একই শর্ত প্রযোজ্য হয় এই নামাজ আদায়ের জন্য। শর্ত হলো ঈদের নামাজ নামাজ আদায় করা যাবে না জামাত ছাড়া। এইনামাজ যেখানে কায়েম করে থাকেন খোলা জায়গা, মসজিদ, যেখানেই পড়া হোক না কেন অবশ্যই জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে।

আর শাওয়াল মাসের এই প্রথম দিনই পালিত হবে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। আর এর পরে হজ্বের মাসে রয়েছে ঈদ উল আযহা। এ ঈদকে কোরবানির ঈদও বলা হয়। মুসলিম উম্মাহ বছরে এই দুই দিনে ঈদগাহে গিয়ে এই নামাজ পড়ে থাকে। যেহেতু বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়া হয় তাই অনেক দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় অনেকেই এই নামাজে নিয়ম ভুলে যাই। নিম্নে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিত দেওয়া হলো:

ঈদের নামাজ

ঈদের নামাজে নেই কোনো আজান ও ইকামত। কিন্তু উচ্চ আওয়াজে জুমার নামাজের মতোই কোরআন তিলাওয়াত করে এই নামাজ সম্পূর্ণ করতে হয়। কিন্তু এর পার্থক্য হলো এই নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।

নিম্নে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম দেওয়া হলোঃ

‌** দুই রাকাত হলে ঈদের নামাজ। এটি জামাতের সাথে পড়তে হয় এবং এটি পড়া ওয়াজিব।
** এই নামাজের এই দুই রাকাতে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়।

★প্রথম রাকাতঃ

প্রথমে নিয়ত করতে হয়। আল্লাহর উদ্দেশ্যে কিবলামূখী হয়ে ঈদুল ফিতর/আজহার ২ রাকাত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সাথে ইমামের পিছনে আদায় করছি।

**তাকবিরে তাহরীমা – আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধবেন।

সবাই নিয়ত বাধার পর সানা পড়বেন।

সানাঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া আলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।

এরপর উচ্চস্বরে ইমাম যখন তাকবীর বলবে তখন সব মুসল্লীরাও তাকবীর বলবেন। ১ম তাকবীর ও ২য় তাকবীর এর সময় ২ হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দিবেন এবং ৩য় তাকবীরে ২ হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে না দিয়ে হাত বাধবেন।

এরপর ইমাম সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলিয়ে রুকু সিজদাহ করবে সাথে মুসল্লিরাও করবে।

দ্বিতীয় রাকাতঃ

দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম আবারও সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ৩ তাকবীর ১ম রাকাতের মতোই আদায় করবে। এর পর অন্যান্য নামাজের রুকু সিজদাহ দিয়ে নামাজ সম্পন্ন করবে।

এই ২ ঈদের আগে পড়ে কোন প্রকার সুন্নত বা নফল নামাজ নেই। এবং এই নামাজের জন্য আজান বা ইকামত ও দিতে হয় না।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই নামাজ সঠিক ভাবে আদায় করার তওফিক দিক। আমীন

আরও পড়তে পারেন:

রোজা: ফরজ, প্রকার, ইতিহাস ও গুরুত্বইসলামের রমজানের রোজার ইতিহাসের সূচনা
রোজার নিয়ত আরবি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহইফতারের দোয়া
রোজা রাখার উপকারিতা, ফজিলত এবং সাবধানতাযে ২৯ কারণে রোজা ভঙ্গ অথবা মাকরুহ হয়ে যেতে পারে
ইসলামে কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম ও কেনরমজানের কাজা রোজা রাখার নিয়ম
রোজা রেখে অসুস্থ হলে করণীয়পৃথিবীতে প্রথম রোজা কে রেখেছিলেন?
যে ১০ ধরনের মানুষের ওপর রোজা ফরজ নয়সারা বছরের রোজার সওয়াব পেতে করণীয়
ঈদের দিন রোজা রাখা নিয়ে ইসলাম কি বলেরমজানের প্রস্তুতিতে যেসব আমল করবেন
রমজানের রোজা না রাখার তিনটি ভয়াবহ শাস্তিবৃহস্পতিবার রোজা রাখার ৭ ফজিলত
২০২৫ সালে রোজা শুরুর তারিখ ঘোষণাঅসুস্থ ব্যক্তি যখন রোজা ভাঙতে পারবে
২০২৫ সালের রোজার ক্যালেন্ডাররোজা শুরু কবে ২০২৫
সেহরি খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান হয়ে গেলে রোজা হবে?রোজা রাখার ৫ ফজিলত
বৃহস্পতিবারে নফল রোজার ফজিলতজানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২০২৫

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম – Eid prayer rules

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Make it modern